আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি চালু আছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। এই হামলায় এক হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং হামাসের হাতে জিম্মি হন ২৫০।
সর্বশেষ চুক্তির শর্ত মেনে ৪৭ জীবিত ও মৃত জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার অঙ্গীকার করেন হামাস।
চুক্তিরদ্বিতীয় ধাপের অন্যতম শর্ত হামাসের নিরস্ত্রীকরণ, গাজায় একটি অন্তর্বর্তীকালীন শাসক নিয়োগ এবং আন্তর্জাতিক 'স্থিতিশীলতা' বাহিনী মোতায়েন করা।
জেরুসালেমে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস-এর সঙ্গে বৈঠকের পর নেতানিয়াহু বলে, 'আমরা আশা করছি খুব শিগগির (যুদ্ধবিরতির) দ্বিতীয় পর্যায় শুরু করতে পারব। আগের পর্যায়ের তুলনায় এতে জটিলতা আরও বেশি।'
আরও জানায়, এ মাসেই সে ট্রাম্পের সঙ্গে এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার 'নানা সুযোগ' নিয়ে আলোচনা করবে।
ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র জার্মানি। গাজার হামলা প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের সম্পর্ক প্রভাবিত হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে জার্মানের মের্ৎস। সে বলে, 'জার্মানিকে অবশ্যই ইসরায়েলের অস্তিত্ব ও নিরাপত্তার রক্ষায় উদ্যোগী হতে হবে।'
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যাপক গণহত্যার কারণে ইসরায়েলকে সুরক্ষা দেওয়া 'জার্মানির ঐতিহাসিক দায়িত্ব', যোগ করেন মের্ৎস।
সংবাদ সম্মেলনে জার্মান নেতা বলে, 'অবশ্যই সময়ে সময়ে ইসরায়েলের সমালোচনা করতে হবে।' বলে, 'জার্মানি-ইসরায়েলের সম্পর্ক এটুকু সহ্য করে নিতে পারবে। তবে ইসরায়েল সরকারের সমালোচনাকে ইহুদিবিদ্বেষ দেখানোর উপকরণ হিসেবে অপব্যবহার করা যাবে না।'
মের্ৎস আবারও জানায়, জার্মানি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় 'দুই রাষ্ট্র' সমাধানে বিশ্বাসী।
১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি চালু হলেও গাজা ইসরায়েলের হামলা বন্ধ হয়নি। ১১ অক্টোবর থেকেই বিচ্ছিন্নভাবে হামলা চালিয়ে আরও ৩৬০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দেশটি।
Your Comment